ব্যাংক ঋণ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের চেকলিষ্ট ও বিস্তারিত তথ্য

ব্যাংক ঋণ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের চেকলিষ্ট ও বিস্তারিত তথ্য

আমরা আমাদের ব্যবসার প্রয়োজনে অনেক সময় ব্যাংক থেকে লোন নিই। আবার কেউ কেউ ফিরেও আসি লোন না পেয়ে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট না থাকার কারনে অনেকেই লোন পাই না। তাই আপনাদের জন্য এখানে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এর চেক লিস্ট আপলোড করা হলো যদি এটা দেখে আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই আসা করি কাজ হবে। এখানে একটা বিষয় বলে রাখা দরকার তাহলো চেক লিস্ট এর সব ডকুমেন্ট আপনার জন্য প্রযোজ্য নয় আপনার বিজনেস অনুযায়ী চেক লিস্ট মিলিয়ে ডকুমেন্ট রেডি করতে হবে। তাহলে দেখেনিন কি কি বিষয়ের উপর আপনাকে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে।


ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এসএমই ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস/দলিলাদির চেকলিস্ট-
এসএমই উদ্যোক্তাদের অনেকেরই ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন ও প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। এসএমই উদ্যোক্তাদের সুবিধার্থে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ আবেদনকারীদের কাছ থেকে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থাকে তার একটি চেকলিষ্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা প্রয়োজন যে, ঋণ প্রদানের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতিমালার আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নেয়া হয়ে থাকে। এ চেকলিষ্ট ব্যাংক ঋণ গ্রহণে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের এ ক্ষেত্রে পূর্ব প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এ চেকলিষ্ট বিষয়ে যে কোন পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য উদ্যোক্তাগণ এসএমই ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
  • নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স।
  • ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকে চলতি হিসাব।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • ড্রাগ লাইসেন্স (ঔষধ ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
  • বিএসটিআই সার্টিফিকেট (খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে )।
  • ডিসির অনুমোদন (ডিজেল ও এসিড ব্যবসার ক্ষেত্রে)।
  • পেট্রোবাংলার সার্টিফিকেট (ডিজেল ও অকটেন ব্যবসার ক্ষেত্রে)।
  • বিগত ১ থেকে ৩ বৎসরের ব্যাংক প্রতিবেদন (বিভিন্ন ব্যাংকের চাহিদা ভিন্ন)।
  • দোকান/ঘর ভাড়ার চুক্তিনামা।
  • পজিশনের দলিল।
  • টিন সার্টিফিকেট।
  • ভ্যাট সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • বিদ্যুৎ বিল।
  • টেলিফোন বিল।
  • সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
  • কর্মচারীদের নাম, পদবী এবং মাসিক বেতনের তালিকা।
  • IRC ও ERC সার্টিফিকেট (আমদানী ও রপ্তানী ব্যবসার ক্ষেত্রে)।
  • মজুদ মাল ও তার বর্তমান মূল্যের তালিকা।
  • স্থায়ী সম্পদের তালিকা ও মূল্য।
  • দেনাদারের তালিকা।
  • পাওনাদেরর তালিকা।
  • বর্তমানে অন্য কোথাও ঋন থাকলে তার বিবরণী।
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের CIB রিপোর্ট, এখানে উলেখ্য যে, এই রিপোর্টের ফরম সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানই উদ্যোক্তাকে সরবরাহ করে এবং উদ্যোক্তা উক্ত ফরম যথাযথভাবে পূরন করে দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিপোর্ট সংগ্রহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে।
  • ঋণের আবেদনকারী এবং গ্যারান্টার উভয়ের পাসপোর্ট সাইজ ছবি। এখানে উল্লেখ্য যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী একাধিক গ্যারান্টার নিতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠানই মূল গ্যারান্টোরের অতিরিক্ত গ্যারান্টার হিসেবে পরিবাররের সদস্যকে গ্যারান্টার হিসেবে নিয়ে থাকে।
  • গ্যারান্টার ব্যবসায়ী হলে তার ট্রেড লাইসেন্স ও CIB রির্পোট ।
  • ব্যবসার বিগত ১ বৎসরের বিক্রয় ও লাভের হিসাবের বিবরনী।
  • প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন এবং মেমোরেন্ডাম অব আর্টিক্যালস ।
  • প্রাইভেট লিমিটডে কোম্পানীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্তের রেজুলেশন।
  • লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে অডিটকৃত আর্থিক বিবরণী, ট্রেড একাউন্ট, লাভ-ক্ষতির হিসাব, ব্যালেন্স শীট
  • লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে কোম্পানীর বর্তমান গ্রাহকদের তালিকা।
  • পার্টনারশীপ ব্যবসার ক্ষেত্রে Join Stock Company থেকে রেজিষ্টার্ড এবং নোটারী পাবলিক দ্বারা
  • নোটারাইজড পার্টনারশীপ ডীড।
  • ঋণ গ্রহন/ হিসাব খোলার জন্য পার্টনারদের রেজুলেশন।

উল্লেখিত কাগজপত্র মোটামোটিভাবে সমস্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেই ঋণ গ্রহণের জন্য প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনবোধে ঋণ আবেদনকারীর কাছ থেকে অন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

প্রিয় পাঠক আশা করি এটি আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। এরকম আরো প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

Post a Comment

0 Comments