জবি প্রতিনিধিঃ
৫ অক্টোবর ২০১৯ অাজিমপুরে ইয়াবা ঢুকিয়ে সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টা ও ১১ সাংবাদিককে লাঞ্ছনার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত প্রগতিশীল সাংবাদিকেদের সংগঠন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব’। জবি প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জগেশ রায় এক যৌথ বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
রোববার ( ৬ অক্টোবর ) জবি প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ইমরান খান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিবৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ ১১ সাংবাদিককে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও লাঞ্ছনার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রগতিশীল সাংবাদিকদের সংগঠন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব’।
বিবৃতিতে জবি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, সাংবাদিকেরা সমাজ তথা রাষ্ট্রের দর্পণ। সাংবাদিকদের সাথে এহেন অপকর্ম মেনে নেয়া যায় না। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অতিদ্রুত জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই। এটা কোন সভ্য সমাজের পুলিশ বাহিনীর আচরণ হতে পারে না।
জানা যায়, রোববার রাত ২ টা নাগাদ বিবাহোত্তর সংবধর্না অনুষ্ঠান শেষে বিডিনিউজ২৪ এর সাংবাদিক ও জবি প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা কাজী মোবারক হোসেন অাজিমপুর বটতলা নিজ বাসভবনের সামনে পৌঁছলে তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও ভাতিজা রিয়াদ (২১) -এর কাছে ইয়াবা অাছে দাবি করে মারধর করেন লালবাগ থানার এস. আই কালাম। এ সময় প্রতিবাদ করলে কাজী মোবারক হোসেনকে জোর করে গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করে এস আই কামাল ও এক কনস্টেবল এবং জোর করে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় অন্যান্য সাংবাদিকরা বাঁধা দিলে লালবাগ জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) আসলাম এনটিভির সাংবাদিক ও জবি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শাহীনকে থাপ্পড় মারেন। এসময় বাঁধা দিতে গেলে অারও ৯ সাংবাদিক শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হন। এ ঘটনায় এস আই কালামকে ক্লোজড করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
0 Comments