রাকিব, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
দক্ষিন আফ্রিকায় ডাকাতদের দেয়া পেট্টোলের আগুনে পুড়ে মারা গেলেন ইমরান খলিফা (২৮) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন। বুধবার ভোরে দক্ষিন আফ্রিকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরান খলিফার মৃত্যু হয়। ইমরানের বোন জামাই রুবেল মাতুব্বর ও রফিকুল ইসলাম নামক একজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়াখন্ড ইউনিয়নের মুজাফফরপুর খলিফাকান্দি এলাকার। তিনি একই এলাকার দুদুমিয়া খলিফার ছেলে। এদিকে আহত আব্দুর রহিমের বাড়িও শিবচর উপজেলায়।
দক্ষিন আফ্রিকায় ডাকাতদের দেয়া পেট্টোলের আগুনে পুড়ে মারা গেলেন ইমরান খলিফা (২৮) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন। বুধবার ভোরে দক্ষিন আফ্রিকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরান খলিফার মৃত্যু হয়। ইমরানের বোন জামাই রুবেল মাতুব্বর ও রফিকুল ইসলাম নামক একজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়াখন্ড ইউনিয়নের মুজাফফরপুর খলিফাকান্দি এলাকার। তিনি একই এলাকার দুদুমিয়া খলিফার ছেলে। এদিকে আহত আব্দুর রহিমের বাড়িও শিবচর উপজেলায়।
স্বজনরা জানান, দেড় বছর আগে জমিজমা বিক্রি করে ইমরানকে দক্ষিন আফ্রিকা পাঠায় পরিবারের লোকজন। সেখানে গিয়ে ওরেঞ্জফার্ম এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন ইমরান। সোমবার রাতে বন্দুকধারী একদল ডাকাত এসে হানা দেয় তার দোকানে। ডাকাতি শেষে দোকানের সাটার নামিয়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। এ সময় ইমরান ও আব্দুর রহিম নামের দুই যুবক দোকানের ভেতর আটকা পড়েন। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ইমরান ও আব্দুর রহিম (২৮) গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইমরানের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে আহত রহিম একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইমরানের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকা।
নিহত ইমরানের বোন জামাই রুবেল মাতুব্বর জানান, ইমরান বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেক টাকা দেনা হয়েছে। তিনি গত দেড় বছর যাবত দক্ষিন আফ্রিকায় আছেন। দেশে এখনো তার প্রায় ৫-৭ লক্ষ টাকা দেনা রয়েছে। তার স্বপ্ন ছিল দেশের দেনা পরিশোধ করে ছোট বোনদের বিয়ে দেবেন। কিন্ত সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। এখন সরকার যদি লাশটি দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেয় ও একটু সহযোগীতা করে, তাহলে হয়তো পরিবারটি বেঁচে থাকার ভরসা পাবে।
আহত আব্দুর রহিমের ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, আমার বড় ভাই রহিম ও ইমরান ভাই দুজনে ওখানে একটি মুদি দোকান করতো। ডাকাতরা ডাকাতি করতে এসে ওর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওখানকার হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু ভোরে ইমরান ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আমার বড় ভাই অনেক অসুস্থ্য রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায়ই আমাদের বাংলাদেশীদের মেরে ফেলা হয়। সরকারের এব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা লাশটি যাতে দ্রুত দেশে আনা যায় সেই ব্যবস্থা করবো এবং পরিবারটিকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
0 Comments