কাটাখালী হাইওয়ে থানার ওসির চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ চালকেরা

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ওসির চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ চালকেরা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে খুলনা-ঢাকা ও খুলনা-মোংলা মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনে হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম এর বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিকেরা এ অভিযোগ তুলেছেন। ওসির ব্যাপক চাঁদাবাজির কারণে খুলনা ঢাকা এবং খুলনা মোংলা মহাসড়ক এলাকায় কর্মরত পরিবহন শ্রমিক ও অটোরিকশা চালকদের কাছে তিনি চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

খুলনা মোংলা মহাসড়ক এলাকার ট্রাক, নসিমন ও অটোরিকশা চালকেরা জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে খুলনা মোংলা মহাসড়ক এলাকায় শুরু করেন অভিযানের নামে ট্রাক, নসিমন ও অটোরিকশা আটক। প্রতিদিন ১০/১৫ অটোরিকশা আটক করে থানায় নিয়ে আসা তাদের রুটিন কাজ। আটকের পর চালকদের সন্ধ্যার পর থানায় যোগাযোগ করতে বলে দেয়া হয়। চালকেরা সন্ধ্যার পর থানায় গেলে প্রতি গাড়ি ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টার মধ্যে দেনা-পাওনা পরিশোধ হওয়ার পর খালি হয় উঠান। এভাবে নিয়মিত চলছে হাইওয়ে ওসির বাণিজ্য। সন্ধ্যার পর যারা যোগাযোগ করেনি তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় ট্রাফিক হেড কোয়ার্টারে। এভাবে হাইওয়ে থানার ওসি প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন নিরীহ, গরিব এসব চালকদের কাছ থেকে।

খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ট্রাক চালক মোঃ ফারুক হোসেন সহ ৮/১০ জন ট্রাক চালক বলেন আমরা মোংলা থেকে সিমেন্ট এবং পাথর আনতে গেলে  আসার পথে কাঁটাখালী হায়ওয়ে পুলিশ আমাদের কাছ থেকে প্রতিবারই ১০০০ (এক হাজার) টাকা করে চাঁদা নেই আর যদি আমরা চাঁদা না দিই তাহলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা সহ ট্রাক আটক করে রাখা হয়।

ট্রাক শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে হাইওয়ে থানার ওসি বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট স্থাপন করেছেন। চেকপোস্টের কাজই হল মালবাহী  ট্রাক, ট্রলি ও মিনি ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করা। তাছাড়া খুলনা-ঢাকা, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চলছে লাইসেন্স এবং নম্বরবিহীন ট্রলি-টমটম। এসব চালকরা বলেন, প্রতি মাসে হাইওয়ে থানাকে ৩শত টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অংকের টাকা দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। তাছাড়া মিনিট্রাক ও ড্যাম্পার ট্রাকগুলো মাসিক টোকেনের ভিত্তিতে চলে। প্রতি গাড়ি টোকেন এর মাধ্যমে মাসিক টাকা গ্রহন করে থাকে। 

এ সকল বিষয়ে কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব মিথ্যা কথা আমি কোন ধরনের চাঁদাবাজি করি না।

ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,  এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি,  সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা নিবো।

Post a Comment

0 Comments