রাকিব হাসান, প্রতিনিধি মাদারীপুর
মাদারীপুর জেলা কালকিনি উপজেলায় কাতার প্রবাসী প্রেমিকের সাথে মোবাইলে ঝগড়া করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে নাসিমা আক্তার (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাসিমা কালকিনি উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের সনমুন্দির এলাকার এসকেন্দার আলির মেয়ে।
তিনি সনমুন্দি হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর একজন পরীক্ষার্থী। পরিদর্শন করে জানা গেল, নাসিমা এবং কাতার প্রবাসী শাখাওয়াত হোসেন তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাইবোন। আজ রাত আনুমানিক ৯ টার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।ঘটনাস্থান পরিদর্শনকারী ডাসার থানার এসআই ফরিদ উদ্দিন এ খবর নিশ্চিত করেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সুত্রে জানা গেছে, নিহত নাসিমা আক্তার এর সাথে একই এলাকার মোঃ আচমত আলির প্রবাসী ছেলে শাখাওয়াত হোসেনের সাথে প্রায় তিন বছর এর অধিক প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের এই সম্পর্কের কথা তাদের পরিবারের উভয়েই জানতো। সম্পর্কে তারা একে অপরের চাচাতো ভাই বোন। বিদেশ থেকে শাখাওয়াত ফিরলেই তাদের বিয়ে হবে। এদিকে কাতার প্রবাসী শাখাওয়াত বর্তমানে নাকি বিদেশে বেকার অবস্থায় আছেন। আর এই বেকার থাকার কারনে মেয়ের কাছে বিয়ের কথা বলে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়টি নাসিমা তার পরিবারকে জানায়। কিন্তু নাসিমার পরিবার ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি নন।
শাখাওয়াতের সাথে নাসিমার বিয়ে দিবেনা বলে জানায় তার পরিবার। আজ নাসিমার বাড়িতে কেউ ছিলনা। এই সুযোগে নাসিমার সাথে মোবাইল কথা হয় শাখাওয়াতের। হয়তো পূর্বের কিছু কথা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ছেলের গালাগালি সইতে না পেরে নাসিমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত নাসিমার বাবা এসকেন্দার আলি বলেন, আমার মেয়েকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। ডাসার থানার এসআই ফরিদ উদ্দিন (তদন্তকারী কর্মকর্তা) বলেন, প্রেমের কারণে নাসিমা আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, নিহতের পরিবার থেকে যদি কেহ আইনি সহায়তা চায় তাহলে পুলিশ তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা করবে।
তিনি আরো বলেন, নিহতের পরিবার থেকে যদি কেহ আইনি সহায়তা চায় তাহলে পুলিশ তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা করবে।
![]() |
0 Comments