জবি প্রতিনিধিঃ
চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পাচার্য স্বর্ণপদক ২০১৮ লাভ করেছেন চিত্রশিল্পী নাজমা অাক্তার। শনিবার বিকেল ৫ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা অডিটোরিয়ামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে শিশু কিশোর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে এ পদক দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাত থেকে তিনি এ পুরষ্কার গ্রহণ করেন। চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
ব্যক্তি জীবনে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমানের সহধর্মীনি।
শিল্পী নাজমা আক্তারের ছবি আঁকার নেশায় যার দিনরাত কাটতো সেই ছোটবেলা থেকেই।
ঢাকার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমা আক্তার। এর আগে তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় লেসেদ্রা আর্ট গ্যালারির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সপ্তম লেসেদ্রা আন্তর্জাতিক পেইন্টিং ও মিশ্র মাধ্যম প্রতিযোগিতায় চিত্রকর্মের জন্য পুরস্কার অন্যতম এতে বিশ্বের ৪৬টি দেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়া কবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৯৮তম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্জন করেছেন 'কবি আবদুল হাই মাশরেকী স্বর্ণপদক'।এর আগে ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পেয়েছেন রশীদ চৌধুরী মেমোরিয়াল পুরস্কার। ১৯৮১-৮২ সালে পর পর দুই বছর চিত্র অঙ্কনে অর্জন করেন শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
নানা প্রতিবন্ধকতার পরও পূরণ হয়েছিল শিল্পী নাজমা আক্তারের আর্ট কলেজে ভর্তির স্বপ্ন। আর্ট কলেজের জীবনটা ভীষণ উপভোগ করতেন। চিত্রশিল্পী নাজমা আক্তার মূলত বিমূর্তধর্মী ছবি আঁকেন। শৈশব-কৈশোর কিংবা তারুণ্যের নানা স্মৃতি, জীবন ও প্রকৃতির নানা বিষয় তুলে আনেন তুলির আঁচড়ে। রঙের প্রয়োগে কখনও উজ্জ্বলতা, কখনও ধূসরতার খেলা। হয়ে উঠেছেন নিসর্গ ও জীবনের বিশিষ্ট রূপকার।
শিল্পীর চিত্রকলা জার্মানি, গ্রিস, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, বুলগেরিয়া, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে এই শিল্পীর একক চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি দেশ-বিদেশে ৩৪টি গ্রুপ চিত্রপ্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। টুকরো অভিজ্ঞতা তুলে আনি চিত্রকর্মে। চেনাজানা জিনিস থেকেই ছবির বিষয়গুলো বেছে নিই। মানুষের বোধগম্য হবে না, এমন ছবি আঁকি না কখনও।'
জার্মানি, গ্রিস, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, বুলগেরিয়া, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে এই শিল্পীর একক চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি দেশ-বিদেশে ৩৪টি গ্রুপ চিত্রপ্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন।
0 Comments